সোনালী আঁশের খ্যাত হারিয়ে যেতে বসেছিল কিন্তু আবার ফিরে আসছে সেই সোনালী দিন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসেবে, দেশে এখন রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাট চাষ হচ্ছে। এছাড়া, দেশি জাতের পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন এ খাতে এক বড় অর্জন।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিউট, বিজেআরআই এর পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেছেন, এরই মধ্যে ৪৯টি ভ্যারাইটি আমরা রিলিজ করেছি, ৪টি ভ্যারাইটি রিলিজের পর্যায়ে আছে। আমাদের জমি কম হলেও প্রোডাকশন কমেনি।

দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে পাটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। পাট দিয়ে পলিথিনের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ব্যাগ, পাট পাতার পানীয় তৈরিসহ নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশে জুট মিল কর্পোরেশন, বিজেএমসি।

বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের পরিচালক মো. শাহেদ সবুর বলেছেন, এতদিন দেখা গেছে শুধু কটন থেকে বা কাঠ থেকে ভিসকস তৈরি হত, তবে এখন পাট থেকেও ভিসকস ফাইবার তৈরি করে আমরা পন্য তৈরি করতে পারছি।

রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় ছিল প্রায় ৪২ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ পাট ও জাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

এর পেছনে রয়েছে পাটনীতি, বন্ধ পাটকল চালু, ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং আইন প্রণয়ন, জুট ডাইভারফিকেশন প্রমোশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ সরকারে নানা পদক্ষেপ।

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি পাটের সোনালী দিন ফিরে আসাও নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন শংশ্লিষ্টরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here