হ্যাঁ, তার রেজাল্ট ভালো হয়েছে, খুশি আমি। তবে তার চেয়ে বেশি খুশি এবং আশাবাদী আমি তার ও রণ’র আচার-আচরণ নিয়ে। তাদের অ্যাটিচ্যুড অসাধারণ। তারা মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছে, সম্মান করতে শিখেছে। তাদের দুজনেরই শ্রদ্ধাবোধ প্রবল এবং মানুষের জন্য ভাবে।’আপনার একটি স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন আপনি আরেকটি বিয়ে করতে চান এবং সেই স্ট্যাটাসটি মিতু ভাবীই টাইপ করেছিল,‘ ওটা দুষ্টুমি কিছু না। সিরিয়াসলিই বলেছি! আর ফেসবুকের টাইপ ও করে দেয়।
আমি আসলে পান্ডুলিপি বলে দেই। এই যে সে আমাদের ২ ছেলেকে নিয়ে ৪০ দিনের জন্য হজ্বে গেল, আগামী ৪০ দিন আমার ফেসবুকে আমি কোনো কিছু পোস্ট করতে পারব না, যার কারণে ফেসবুকে আমার নতুন কোনো স্ট্যাটাস আসবে না। সে আসলে আবার আমার নতুন নতুন স্ট্যাটাস দেখা যাবে।’বিয়ের ব্যাপার নিয়ে বলুন,‘ বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে আসলে আমি সিরিয়াস। আমি ফিল করি যে আমার নিঃসঙ্গতা, বা ওর অসুস্থতা, অথবা আমার ফিউচার প্রজেকশনে এই সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
তবে আমি আশাবাদী আমার নিজের বিয়ের ব্যাপারে। ’মিতু ভাবির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। এরকম কিছু? ‘ মোটেও না। আমরা অনেক সুখে আছি। ব্যাপারটা হচ্ছে আমি আমাকে দেখি, আমার প্রজেকশনটা অনেক সামনে থাকে। আমি দেখি যে আমি অসুস্থ, আমার বউ অসুস্থ, আমাদের ২ ছেলে তাদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত আছে- তো এই লাইফটা আসলে আমি চাই না।
যেহেতু সে অসুস্থ, আমারও বয়স হচ্ছে এখন- আমার নিজের জন্যই একটা প্রোটেকশন দরকার। সে নিজেও খুব ব্যস্ত, সারাদিন ব্যস্ত থাকে- তো ওর সঙ্গে আসলে আমার ঐরকম ইন্টারেকশনটা খুব একটা নাই। বাট আমরা সংসারটা করছি- এবং ভালোভাবেই করছি। আমার এই বিয়ের ব্যাপারে ওর কাছ থেকে অনুমতিও নেয়া আছে। যদি ব্যাটে বলে মিলে যায়- ডেফিনেটলি বিয়ে করব। আমার পছন্দ আছে একজন। মিতুকে আমি নিজেই পাঠিয়েছিলাম দেখে আসতে।’ সব কিছু ঠিক থাকলে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি।