ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মটা সত্যিই অদ্ভুত। ১১ ওভারে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১০০। শেষ পর্যন্ত তা ৯ উইকেটে ১৪৩। বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যটা নেমে এসেছে ১১ ওভারে ৯১ রানে। ডাকওয়ার্থ-লুইসে নিয়মটা যে এখনো অনেকের কাছেই ধাঁধা তা এখানেই পরিষ্কার। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পথে সাকিব-মোস্তাফিজরা কোনো ‘ধাঁধা’ সৃষ্টি করতে পারেননি। এই স্কোর তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে কার্লোস ব্রাফেটের দল।
প্রথম ওভারে ক্যারিবীয়দের শুরুটা হয়েছিল টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মতোই। মেহেদী হাসান মিরাজের করা সেই ওভার থেকে ১০ রান তুলে নেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার-এভিন লুইস জুটি। পরের ওভারে দুজনকেই তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। ওই ওভারে কোনো রানও দেননি তিনি। ডাবল উইকেট মেডেন আরকি! কিন্তু এরপর স্যামুয়েলস-রাসেলের ২২ বলে ৪২ রানের জুটিতে চাপ কাটিয়ে ওঠে ক্যারিবীয়রা। ষষ্ঠ ওভারে স্যামুয়েলসকে (২৬) তুলে নেন রুবেল হোসেন। জয় থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ৩২ বলে ৩৯ রানের দূরত্বে।

সপ্তম ওভারে মোস্তাফিজকে বেধড়ক পিটিয়ে লক্ষ্যটাকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে এসেছেন রাসেল। শুধু এই ওভার থেকেই তিনি একাই তুলে নিয়েছেন ১৮ রান। এর মধ্যে একটি ছক্কা মেরেছেন স্টেডিয়ামের বাইরে। আরেকটি ছাদের ওপর। ক্যারিবীয়রা তখন ২৪ বলে মাত্র ২০ রানের দূরত্বে। এখান থেকেও ক্যারিবীয়দের রানবন্যা থামাতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা।

নাজমুল হোসেনের করা অষ্টম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন রাসেল-পাওয়েল জুটি। ম্যাচটা যেখানে বাংলাদেশের বোলারদের কঠিন করে তোলার কথা ছিল সেই মুহূর্তেই ফসকে গেছে এতগুলো রান। এরপর আর ম্যাচের কী থাকে! সাকিবের করা ১০ম ওভারের প্রথম বলে বিশাল ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন পাওয়েল (১৫*)। অন্য প্রান্তে ২১ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন রাসেল।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে সফরকারিদের ইনিংসও শুরু হয়েছে কিছুটা দেরিতে। প্রথম ওভারেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর আর পথে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here