আবারও স্বর্ণের দাম কমেছে। এবার ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা করে কমল স্বর্ণের দাম। এর ফলে ২২ ক্যারেটের (সবচেয়ে ভালো মানের) প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৪৭১ টাকা।

সোমবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে বলে রোববার বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনটি বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই দাম কমানো হয়েছিল। আর এনিয়ে পরপর চার দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম কমলো প্রায় ৪ হাজার ৮শ টাকা।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে (দুবাই) রোববার প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ছিল ৩৭ দশমিক ৫৭ ডলার। এ হিসাবে স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ভরির দাম পড়ে (প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসাবে) ৩৫ হাজার ৯৩৩ টাকা। ফলে দাম কমার পরও দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি বাজারে ভরিতে পার্থক্য ১১ হাজার ৫৩৭ টাকা। অর্থাৎ স্বর্ণের বাজারে বিশৃংখলা চলছে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৪৭১ টাকা। রোববার এর দাম ছিল ৪৮ হাজার ৬৩৮ টাকা।এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৩৬৪ টাকা থেকে কমে ৪৫ হাজার ১৯৮ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি ৪১ হাজার ২৯০ টাকা থেকে কমে ৪০ হাজার ১২৪ টাকায় বিক্রি হবে। ফলে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ মানের স্বর্ণ প্রতি ভরি আগের মতো ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।

অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দামও। আগের দাম অনুসারে প্রতি ভরি রূপা ১ হাজার ৪৯ টাকায় বিক্রি হবে। তবে একজন ক্রেতা কোনো জুয়েলারির দোকান থেকে স্বর্ণালংকার কিনতে চাইলে তাকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এরপর ভরিতে প্রায় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হয়।

জানা গেছে, মানভেদে দেশে চার ধরণের স্বর্ণ বিক্রি হয়। এরমধ্যে ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে। আর পুরনো স্বর্ণালংকার গলিয়ে তৈরি করা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ স্বর্ণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here