নোমান বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের ছিল না। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝিয়ে দিয়েছে সরকার টেকার মতো নয়, সরকারকে মেরামত করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রথমে সমর্থন জানানো ছিল সরকারের একটা কৌশল। সমস্ত জাতি যখন এক তখন সরকার শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানায়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের চিরায়ত স্বভাব প্রকাশ পায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে। এ হামলা থেকে সাংবাদিকরাও রেহায় পায়নি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে সুশাসন নেই, দেশ অর্থনৈতিকভাবে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।
নোমান বলেন, সরকার স্বৈরচারী কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা সাধারণ মানুষসহ বিএনপি কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আইয়ুব খান ও এরশাদেরও হাতিয়ার ছিল লাঠি আর টিয়ারগ্যাস। বর্তমান সরকারের হাতিয়ার এখন তা’ই। সরকার স্বৈরচারী শাসক হয়েছে। সংবিধান মানছে না। তারা সংবিধানের রক্ষক হয়ে ভক্ষণ করছে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।