আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১/১১-এর মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্তটা কিন্তু বিএনপি করছে। মিডিয়ার একটি অংশ তাদের সহযোগিতা করছে। ১/১১-এর কুশীলবদের সঙ্গে মিডিয়ার একটি অংশ ছিল সহযোগী। এখনো একই ষড়যন্ত্র সেই বিএনপিই করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ আমাদের সরকারের ওপর খুশি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আমাদের উন্নয়ন অর্জনে জনগণ খুশি। আমরা জানি জনগণ উন্নয়নের দিকে রায় দেবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবারো রায় দেবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বিএনপি ও তাদের দোসররা হুমকি সৃষ্টি করছে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে মোটামুটি স্বস্তিদায়ক নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটা শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। এই শান্তিময় পরিবেশটাকে ভয়ঙ্কর রূপ দেয়ার জন্য বিএনপি ও তাদের দোসররা উঠেপড়ে লেগেছে। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থাকার কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। যখন আসার সুযোগ ছিল তখনো তারা আসেনি। তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ পর্যন্ত অফার করা হয়েছিল, কিন্তু তারা আসেনি। এবার তারা পার্লামেন্টে উপস্থিত নেই। কাজেই এবার তাদের ডাকতে হবে এমন কোনো চিন্তা নেই। টেকনোক্রেট দল থেকে কেন নেবো? বাইরে থেকেও তো নেয়া যেতে পারে। সরকার যে পদ্ধতিতে নির্বাচনে যেতে চাচ্ছে সেই পদ্ধতি বহাল থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলেছে, এক্ষেত্রে রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্ধতিটা আমাদের সংবিধানের। পদ্ধতিটা বাংলাদেশের সংবিধানই নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচনটা কিভাবে হবে। আর সংবিধানের এই দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ে গেছে। ইলেকশন শিডিউল ঘোষণার পরপরই লেভেল প্লেইং ফিল্ড কিভাবে হবে সেটাও নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যাবে। এদিকে, ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারী বর্ষণ না হলে এবার জনসাধারণের ঈদযাত্রা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২৩টি সেতু উদ্বোধন করেছেন। আমি আশা করছি এবারের যাত্রা আরো স্বস্তিদায়ক হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত যে সমস্যাটা মূলত হয়েছিল-ফেনী রেল ওভারপাস, এবার ঈদে ঈদ উপহার হিসেবে এটাকে চার লেন থেকে ছয় লেনে উন্নীত করে দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে সচেতন আছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চেয়েছি। একটা অভিযোগ পেয়েছি সিরাজগঞ্জের একটা কাউন্টার থেকে। তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। আমি সঙ্গে সঙ্গে কাউন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়া কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেব। কোরবানির পশুবাহী যানবাহন যথাযথ জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পশুবাহী গাড়িগুলো যথাযথভাবে রাখলে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় না নামালে আর কোথাও কোনো সমস্যা থাকবে না। আপনারা পশুবাহী গাড়িগুলো যথাযথ স্থানে রাখবেন।
সুত্র: মানবজমিন