২০০৭ সালে অভিষেকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বরিয়া। আর এর পর থেকেই পর্দার সামনে কাজ করা বেশ কমে যায় সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর। বিয়ের চার বছর পর ২০১১ সালে তারকা এই দম্পতির ঘরে প্রথম জন্ম নেয় তাদের একমাত্র মেয়ে আরাধ্য।
এরপর মেয়ে আরাধ্যার জন্মেরও আরও ৫ বছর পর বলিউডে কামব্যাক করেন ঐশ্বরিয়া রায়। পরপর ‘জজবা’ ‘সর্বজিত’, ‘ফান্নে খান’-এই তিন ছবিতে অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া। তবে তাতেও ব্যবসা তেমন সফল হয়নি।
আর তাই এখন বলিউডের একাংশ মন্তব্য করতে শুরু করে দিয়েছেন ঐশ্বরিয়ার অভিনয়ের ধার আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন পরিচালকও সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরীর অভিনয় দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু, ঐশ্বরিয়ার সিনেমা কেন একের পর এক ফ্লপ করছেন, এর পিছনে আসল কারণ কী?
অনেকে রাখঢাক না রেখেই বলে দিচ্ছেন, অভিষেক বচ্চনের পাশে থাকার জন্য, স্বামীর ক্যারিয়ার গ্রাফকে উপরে তোলার জন্য ঐশ্বরিয়া নাকি নানা ধরনের ঝুঁকি নিতে শুরু করেছেন। নিচ্ছেন ভুল সিদ্ধান্তও। এমনকি যে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ দিয়ে বলিউডে পাকাপোক্ত জায়গা করে নেন ঐশ্বরিয়া, অভিষেকের জন্য নাকি সেই বানসালির সিনেমাকেও না করে দিয়েছেন রাই!
‘রাবণ’-এর দীর্ঘ ৮ বছর পর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে আবার স্ক্রিন শেয়ার করতে চলেছেন ঐশ্বরিয়া। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত সিনেমাটির নাম ‘গুলাব জামুন’। মূলত এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতেই বানসালিকে ফিরিয়ে দিতে হলো ঐশ্বরিয়াকে। কারণ দুটি সিনেমার শুটিং একই সময়ে। সিডিউল মিলে যাওয়ায় এবং স্বামীর সঙ্গে অভিনয় করতেই ‘দেবদাস’ খ্যাত নির্মাতা বানসালিকেও ফিরিয়ে দিলেন ঐশ্বরিয়া!