দুইশরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পায় উত্তম কুমার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দৃষ্টিদান’। কিন্তু ছবিটি দর্শক হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনি। তাঁর প্রথম দিককার ছবিগুলোর কোনটাই ব্যবসাসফল হয়নি। চলচ্চিত্র পাড়ায় তাঁর নামই হয়ে যায় ‘ফ্লপ মাস্টার’। তবে ১৯৫২ সালে ‘বসু পরিবার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম নজর কাড়েন তিনি। ১৯৫৩ সালে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে মহানায়ককে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতেই প্রথম দেখা যায় উত্তম কুমার- সুচিত্রা সেন জুটিকে। বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সফল এই জুটি পরবর্তী সময়ে হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকার মত ব্যবসাসফল ছবি সহ ত্রিশটির বেশী ছবি উপহার দেন দর্শকদের।
চলচ্চিত্র ছাড়াও মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন মহানায়ক উত্তম। তাঁর অভিনয়ের সূত্রপাত আসলে মঞ্চ নাটক থেকেই। এছাড়াও সংগীতেও ছিলেন পারদর্শী। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কাল তুমি আলেয়া’ চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেছেন। এছাড়া হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমার ১৯৬৮ সালে ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গী’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।