শি জিনপিংয়ের চীন থেকে দুতের্তের ফিলিপাইনসহ পুরো এশিয়া থেকে বিভিন্ন দেশ জিডিপি বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির তালিকায় নিজেদের নাম লেখাচ্ছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। দেশটির মোট অর্থনীতি দাঁড়িয়েছে ২৫.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে। ২০১৭ সাল থেকে দেশটির অর্থনীতি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো এশিয়াজুড়ে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য রয়েছে দেশটির।

চীনের পর ১০.৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতি রয়েছে ভারতের দখলে। গত বছরের চেয়ে ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৮ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘২০১৮ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উঠতি বাজারের বৃদ্ধি ও উন্নয়নশীল অর্থনীতি আরো বৃদ্ধি পাবে। তারপর বৃদ্ধি থেমে যাবে। তাই নীতিনির্ধারকদের উচিত এই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করা। আইএমএফ বহুদিন ধরে বলে আসছে যে, ভাল সময় বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কিন্তু সুষম নীতিমালা টিকে থাকে।

ফিলিপাইনের বর্তমান জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৯৫৫.২ বিলিয়নে। একের পর এক দেশ ফিলিপাইনের জিডিপি ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু তবুও দেশটি তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। বর্তমানে এশিয়ার শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে একটি হচ্ছে ফিলিপাইন।

অর্থনীতিবিদরা বিবেচনায়, মালয়েশিয়া বেশ সাবলীল ও শক্তভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উঠতি বাজারগুলোর একটি।

থাইল্যান্ড নতুন শিল্পোন্নত দেশ ও বেশ দ্রুত গতিতে উন্নতি করছে। ২০১৭ সাল থেকে দেশটির জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ শতাংশ।

অর্থনীতি বিবেচনার ক্ষেত্রে জনসংখ্যার ও জনতাত্ত্বিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। কোন দেশের তরুণ জনসংখ্যা অর্থনীতিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে চাপ দেয়। ভারত ও ফিলিপাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা বর্তমানে তরুণ। তাদের উচিত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা ও তাদের তরুণ জনসংখ্যাকে কাজে লাগানো।

জাপান ও চীনের মতো প্রযুক্তি-নির্ভর দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে তাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। তবেই তারা এশিয়ার শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় থাকতে পারবে। -ডাটালিডস, এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক, দ্য নেশন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here