এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ৭ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বিএসইসি সহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অর্থনীতিকে বেগবান, বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের অবদান বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য বিএসইসিসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।’
প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশগুলো হচ্ছে-দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস হিসেবে বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালুকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর পছন্দের বাসকেট (ঝুলি) সম্প্রসারিত ও বৈচিত্রময় করা, নতুন প্রোডাক্ট চালু করার পূর্বে তার পরিচিতি, পরিচালন প্রক্রিয়া ও কৌশল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিতকরণ এবং বিএসইসির প্রশিক্ষণ একাডেমির কার্যক্রম জোরদার করে সর্বস্তরে বিনিয়োগ শিক্ষা বিস্তৃতকরণ।
সেই সাথে-আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা ও গুরুত্ব, অন্যান্য সেক্টরের সাথে পুঁজিবাজারের আন্তঃসম্পর্ক ইত্যাদি নানা বিষয়ে সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত কোম্পনিসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানির শেয়ার লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্মল ক্যাপ বোর্র্ড চালু করা।
তিসি সকল ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিকতরণের পাশাপাশি সর্বত্র স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাসহ উল্লেখিত সকল কর্মসূচি ও কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এসব কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে এবং দেশের অগ্রগতির ধারা আরও বেগবান হবে।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. মো. খায়রুল হোসেনও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।