জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে গত মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মাত্র চার মাস বাদে ভোট; এমন সময়ে বিএনপি মহাসচিবের জাতিসংঘ সফর রাজনীতিতে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছেন, তারা মির্জা ফখরুলের এ সফরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরও একই দাবি করেন। তিনি বলেন, কোনো দেশে সংকট সৃষ্টি হলে তা নিরসনের চেষ্টায় জাতিসংঘ দূত পাঠায়। বাংলাদেশে কোনো সংকট না থাকায় জাতিসংঘ কোনো দূত পাঠায়নি। এ থেকেই স্পষ্ট দেশে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে।
তাহলে মির্জা ফখরুলকে কেন আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘ— এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বিষয়ে তড়িঘড়ি মন্তব্য করতে চান না। এ সময় তিনি কৌতুক করে বলেন, বিএনপির যথার্থ মানে হলো ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’। বিএনপির নেতারা এত নালিশ শুরু করেছেন যে জাতিসংঘও বিরক্ত হয়ে তাদের নালিশ শোনার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তলব করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তঃরাষ্ট্রিক সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা হচ্ছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। জাতিসংঘ নিয়ে তিনি অহেতুক মন্তব্য করতে চান না। জাতিসংঘ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে পারে। আওয়ামী লীগও তাই চায়।
আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে কি-না জানতে চাইলে বিষয়টি জানেন না বলে জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের আবারো বলেন, বাইরের কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না আওয়ামী লীগ। সংবিধানে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই নির্বাচন হবে। এ প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তফসিল ঘোষণার পর ভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন ও কতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকার তাদের সহায়তা দেবে মাত্র।
আন্দোলনে ‘নৌকা’ ভেসে যাবে— বিএনপি নেতাদের এমন হুঁশিয়ারির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নৌকা ভেসেই আছে। ডোবেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতীক ‘নৌকা’ বিজয়ের মাসে ভেসে ভেসে জয়ের বন্দরে ভিড়বে।