প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ স্মরণীয় করলেন জাদেজা। মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটসম্যান সত্ত্বাকে জাগ্রত করলেন বটে; তবে সেটা যথেষ্ট পর্যায়ে নিতে ব্যর্থ। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দুরবস্থার দিনে রোহিতরা খেলে গেলেন ঠাণ্ডা মাথায়। তাতে ৩৬.২ ওভারে এল ৭ উইকেটের জয়।
দুবাইতে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের এই ম্যাচে বাংলাদেশকে এক প্রকার পাত্তাই দেয়নি ভারত। ২০১৭ সালের জুলাইতে আগের ওয়ানডে ম্যাচটি খেলা জাদেজা ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে একাই নেন ৪ উইকেট। তিনটি করে উইকেট ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাহর। ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে শেষদিকে আশা দেখান মিরাজ এবং মাশরাফী। অষ্টম উইকেটে দুজনে ৬৬ রান যোগ করে দলকে ১৭৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন। মিরাজ ৫০ বলে দুই চার, দুই ছয়ে ৪২ রান করেন। অধিনায়ক মাশরাফী দুই ছয়ে ৩২ বলে ২৬ করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর বলার মতো স্কোর রিয়াদের, ৫১ বলে ২৫।

জবাব দিতে নেমে শেখর ধাওয়ানকে নিয়ে দারুণ শুরু করেন রোহিত শর্মা। স্কোরবোর্ডে ৬১ রান জমা করে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন শেখর। ফ্রন্টফুটে এসে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন। রোহিতের পরামর্শ মেনে রিভিউ না নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। ফেরার আগে ৪৭ বলে চারটি চার, একটি ছয়ে ৪০ করে যান।

এরপর আম্বতি রায়ডুকে নিয়ে দলীয় শতরান পূরণ করেন রোহিত। তুলে নেন ব্যাক-টু-ব্যাক হাফসেঞ্চুরি। পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ৫২। রায়ডু ফেরেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে। রুবেল হোসেনের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় মুশফিকের হাতে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে মুশফিক রিভিউ নিয়ে সফল হন।

অভিজ্ঞ ধোনিকে নিয়ে প্রায় জয়ের কাছে চলে যান রোহিত। দলীয় ১৭০ রানের মাথায় ডাউন দ্য উইকেটে এসে বড় শট খেলতে গিয়ে মাশরাফীর বলে ডিপ-কাভারে ধরা পড়েন ধোনি। ৩৭ বলে করে যান ৩৩। জয় পর্যন্ত দিনেশ কার্তিকের (১) সঙ্গে রোহিত অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১৭৩ (৪৯.১ ওভার)
(সাকিব ১৭, মুশফিক ২১, রিয়াদ ২৫, মোসাদ্দেক ১২, মাশরাফী ২৬, মিরাজ ৪২; জাদেজা ৪/২৯, ভুবনেশ্বর ৩/৩২, বুমরাহ ৩/৩৭)
ভারত ১৭৪/১ (৩০ ওভার)
(শেখর ৪০, রোহিত ৮৩* , রায়ডু ১৩, ধোনি ৩৩, মিরাজ ০/৩৮, )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here