কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে আগস্ট শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ২১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৪ টাকা দরে) ১৭ হাজার ৬৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময় ছিল ১৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ঋণাত্মক (-) রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ ঋণাত্মক (-) হার কমেছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে ঘাটতি ছিল ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো।
এদিকে আলোচিত সময়ে সেবাখাতে বেতন-ভাতা বাবদ বিদেশিদের পরিশোধ করা হয়েছে ১৪২ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে ১০৩ কোটি ডলার। এ হিসাবে সেবায় বাণিজ্যে দেশে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি ডলার। যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল (ঘাটতি) ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
প্রথম দুই মাসে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আলোচিত সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৪৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। এদিকে এফডিআই বাড়লেও দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপক হারে কমেছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শেয়ারবাজারে মাত্র ৫০ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
এদিকে বেশ কয়েক মাস স্থিতিশীল থাকার পর সম্প্রতি বাড়ছে ডলারের দাম। প্রতি ডলারে পাঁচ পয়সা বেড়ে এখন আন্তঃব্যাংকে ডলারের দর উঠেছে ৮৩ টাকা ৮৩ পয়সা।