গত ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ন্যাপ ও এনডিপি ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন আলোচনা, বৈঠক করে শেষ পর্যন্ত বিকল্পধারা ছাড়াই গত ১৩ অক্টোবর শনিবার বিএনপি, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়।
আজকের সাক্ষাত প্রসঙ্গে জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘বি চৌধুরী তাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ায় আমাদের অনেকবার আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু সে সময় যেহেতু আমরা ২০ দলীয় জোটের শরিক ছিলাম তাই আলাদা করে বসতে রাজি হইনি। ২২ সেপ্টেম্বরের নাগরিক সমাবেশেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। আমরা জাতীয় ঐক্যের পক্ষে। ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু বাংলাদেশের আরও জোট আছে। সবার সঙ্গে কম বেশি পরিচয় আছে।’
ন্যাপ চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় ঐক্যে তাদের আলাদাভাবে বলা হয়নি। ২০ দলীয় জোট আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সেখানে থাকতে পারবেন। কিন্তু নীতিনির্ধারক হিসেবে থাকতে পারবে না।
বিএনপির প্রতি অভিযোগ জানিয়ে জেবেল রহমান গানি বলেন, ছয় বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে ছিলেন। তাদের কারণে কিছু দায়ও নিয়েছেন। ২০ দলীয় জোটকে এখন পাশ কাটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। এ ছাড়া বলেন, ২০১৫ সালের পরে আজ পর্যন্ত কিছু হয়নি। আর আসন বণ্টনের ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ন বলে উল্লেখ করেন। এবার নির্বাচনে অংশ নেবেন জানিয়ে বলেন, পরপর ২ বার নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাদ হয়ে যাবে।
বিকল্পধারার সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে জেবেল রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে জানতে চাইব তারা যে জোট করতে যাচ্ছে তার লক্ষ্য কী হবে, কী প্রক্রিয়ায় ঐক্য হবে। তবে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় যাব। আলোচনা সফল হলে ঐক্যের চেষ্টা হবে। নির্বাচন অনেক কাছে। এখন যা হবে সব নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট।’
এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা আজকের চায়ের দাওয়াত প্রসঙ্গে বলেন, দাওয়াত পেয়েছেন, তিনিও যাবেন। সেখানে বিকল্পধারার সঙ্গে নতুন জোট নিয়ে আলোচনা হলে সেখানে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।