শীত নামতে শুরু করেছে সারাদেশে। গ্রামীণ জনপদে এখন হিম হিম আমেজ। সাঁঝ-প্রভাতে দৃষ্টিসীমা হরন করছে কুয়াশার চাদর। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাতে হচ্ছে। এবার খানিকটা আগেই শীত এসেছে উত্তরের জনপদে। সন্ধ্যার পরপরই কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বন্দী হয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ। তাপমাত্রা কমছে সারাদেশেই। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি আসা এবং সন্ধ্যায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দুই মাস আগেই উত্তরাঞ্চলে শীত এসে গেছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়ে বলছেন, চলমান আবহাওয়ায় পরিবর্তন না এলে এবার শীতের তীব্রতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। ভয়াবহ শীত পড়বে দেশে। গত বছরের ৮ জানুয়ারি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল তাপমাত্রা। এবার তা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে খেয়ালি হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। এই অবস্থা বিপদজনক। ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসোর্স ইনস্টিটিউট-ইরি বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট ড. এমজি নিয়োগী জানান,জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এবার আড়াই মাস আগেই শীত এসেছে উত্তরাঞ্চলে। শীতের তীব্রতা বাড়বে বহুগুণ। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতেও পারে।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী বলেন, এবার আবহাওয়ার মতিগতি ভালো নয়। বেশিমাত্রায় খেয়ালী। ষড়ঋতু আর কোন অনুশাসন মেনে চলছে না। এবার আশ্বিন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই উত্তরাঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি আসা শুরু করে। ফলে শীত ও কুয়াশাও পড়া শুরু হয়েছে আগে থেকেই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমাগত কমার কারণে শীত অনুভবের পাশাপাশি আগাম কুয়াশা পড়াও শুরু হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here