সদ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘জিরো’ ছবির ট্রেলার। এই ছবিতে শাহরুখ খানকে একজন বেঁটে মানুষের চরিত্রে দেখা গেছে। চরিত্রটি নিয়ে শাহরুখ যেমন উত্তেজিত, তেমনি দর্শকদেরও কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু কীভাবে একজন ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার মানুষ ৩ ফুট হয়ে গেল? এমন প্রশ্নের উত্তর জানা গেল ইন্টারনেট নলেজ শেয়ারিং সাইট ‘কোরা’ থেকে।
শাহরুখেকে বেঁটে বানানোর পেছনে কাজ করেছে প্রযুক্তির আশ্চর্য ম্যাজিক। এর আগে বলিউডের ছবিতে এমন লুক দেখা গেলেও, সেটা সত্যিকারের একজন বেঁটে মানুষের মুখে সুপার ইম্পোজের মাধ্যমে অন্য অভিনেতার মুখ জুড়ে দেওয়া হতো। কিন্তু শাহরুখের ক্ষেত্রে এমনটি করা হয়নি। ভারতীয় ছবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খোদ অভিনেতাকেই বেঁটে বানানো হলো উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায়।

শাহরুখকে আমূল বদলে দেয় ‘স্কেল ডাবলস’ ও ‘ফোর্সড পারসপেকটিভ’ প্রযুক্তি। প্রথমে পুরো ছবিতে শাহরুখের শটগুলো নেওয়া হয়। এরপর আলাদা করে শাহরুখের বডি ডাবলের শ্যুট করা হয়। প্রধান চরিত্র ও বডি ডাবলের শ্যুটিং হয় দু’টো আলাদা স্কেলে, যাতে চরিত্রের সঙ্গে সেট-এর সামঞ্জস্য বজায় থাকে। ছবিতে যদি কোনো লম্বা ব্যক্তির সঙ্গে বামন চরিত্রের কথোপকথনের দৃশ্য থাকে, সে ক্ষেত্রে ‘ফোর্সড পারসপেকটিভ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অবজেক্টের আকৃতির পরিবর্তন করে ইল্যুশন(দৃষ্টিভ্রম) তৈরি করা হয়। এছাড়া ভিজুয়াল ইফেক্টসের কারসাজি তো রয়েছেই।

চলচ্চিত্রের ভাষায় এ ধরনের প্রযুক্তিকে বলা হয় ইল্যুশন ভিডিওগ্রাফি। এই প্রযুক্তি চোখে একধরনের ভ্রান্তি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ এমন কিছু, যা সবসময় চোখকে বিভ্রান্ত করে এবং দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বাস্তবতার কোন সামঞ্জস্য থাকেনা। দৃশ্যগুলো হয় মূল বাস্তবতা থেকে আলাদা। এছাড়া থাকে ক্যামেরা এবং ক্যামেরার সামনে থাকা মডেলদের কারসাজি।

এ ধরনের প্রযুক্তি সর্বপ্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড ব্লকবাস্টার ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’ ছবিতে। পরবর্তীতে ‘দ্য হবিট’ ছবিতে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে দেখা যায়। আর এখন হামেশাই হলিউডে এসব প্রযুক্তির দেখা মেলে। ‘জিরো’ ছবির মূল চরিত্রে শাহরুখ ছাড়াও রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও আনুশকা শর্মা। বড়দিন উপলক্ষে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here