শাহরুখকে আমূল বদলে দেয় ‘স্কেল ডাবলস’ ও ‘ফোর্সড পারসপেকটিভ’ প্রযুক্তি। প্রথমে পুরো ছবিতে শাহরুখের শটগুলো নেওয়া হয়। এরপর আলাদা করে শাহরুখের বডি ডাবলের শ্যুট করা হয়। প্রধান চরিত্র ও বডি ডাবলের শ্যুটিং হয় দু’টো আলাদা স্কেলে, যাতে চরিত্রের সঙ্গে সেট-এর সামঞ্জস্য বজায় থাকে। ছবিতে যদি কোনো লম্বা ব্যক্তির সঙ্গে বামন চরিত্রের কথোপকথনের দৃশ্য থাকে, সে ক্ষেত্রে ‘ফোর্সড পারসপেকটিভ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অবজেক্টের আকৃতির পরিবর্তন করে ইল্যুশন(দৃষ্টিভ্রম) তৈরি করা হয়। এছাড়া ভিজুয়াল ইফেক্টসের কারসাজি তো রয়েছেই।
চলচ্চিত্রের ভাষায় এ ধরনের প্রযুক্তিকে বলা হয় ইল্যুশন ভিডিওগ্রাফি। এই প্রযুক্তি চোখে একধরনের ভ্রান্তি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ এমন কিছু, যা সবসময় চোখকে বিভ্রান্ত করে এবং দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বাস্তবতার কোন সামঞ্জস্য থাকেনা। দৃশ্যগুলো হয় মূল বাস্তবতা থেকে আলাদা। এছাড়া থাকে ক্যামেরা এবং ক্যামেরার সামনে থাকা মডেলদের কারসাজি।
এ ধরনের প্রযুক্তি সর্বপ্রথম দেখা গিয়েছিল ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড ব্লকবাস্টার ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’ ছবিতে। পরবর্তীতে ‘দ্য হবিট’ ছবিতে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে দেখা যায়। আর এখন হামেশাই হলিউডে এসব প্রযুক্তির দেখা মেলে। ‘জিরো’ ছবির মূল চরিত্রে শাহরুখ ছাড়াও রয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও আনুশকা শর্মা। বড়দিন উপলক্ষে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি।