সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে পোশাক শ্রমিক হত্যার মুল হোতা নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ চার সদস্য।  বৃহস্পতিবার ভোররাতে আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাবলু হোসেন মুন্সী (২৮) বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার টেকনি গ্রামের বাবর আলী মুন্সীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও অপহরনসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধে আহত আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক মেহেদীকে হত্যা করে ৮ টুকরো করার মামলার মূল হোতা বাবুল হোসেন ইয়ারপুর এলাকার মুন্নার বাসবাগানে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অপহরনকারী দলের সদ্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাঁশ বাগানের ভেতর থেকে এলোপাথারিভাবে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

গুলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাত সদস্যরা পিছু হটে। পড়ে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপহরনকারী , খুনি চক্রের মূল হোতা বাবুল হোসেনকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, নিহত অপহরনকারীর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর আশুরিয়ার নিশ্চিতপুর থেকে মেহেদী হাসান টিপু নামে এক পোশাক শ্রমিককে অপহরন করে মুক্তিপন আদায় করা হয়। পরে অপহরনকারী তাকে হত্যা করে মৃতদেহটি ৮ টুকরো ফ্রিজে ভরে রাখে এবং কয়েকদিন পর তার রাস্তায় ফেলে দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here