নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

বুধবার সকাল থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আজকের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলের মূল ফটকে অবস্থান করছে।

নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ‘শাসন করুন অপমান নয়,’ ‘কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আর কত শিক্ষার্থী প্রাণ দেবে,’ ‌‌‘শিক্ষার্থীদের অপরাধের শাস্তি যদি টিসি হয়, তবে শিক্ষকদের অপরাধের শাস্তি কি হবে?’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকরা কখনো শিশুদের সমস্যা নিয়ে গার্ডিয়ানদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না। এমনকি বাচ্চার কোন সমস্যা নিয়ে গেলে সমাধান করার চেষ্টা করে না।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অধ্যক্ষ ও গভর্নিংবডির পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এটি একটি হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। অধ্যক্ষের ভর্তি-বাণিজ্যের কারণে তার শাস্তিও দাবি করেন।

অরিত্রির বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ এনেছিল। এজন্য অরিত্রির মা-বাবাকে ডেকে নেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।

তাদের ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রিকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে। এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে সাততলা ভবনের সপ্তম তলায় নিজ ফ্ল্যাটের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রিকে পাওয়া যায়।

এর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। অরিত্রির বাবা দিলীপ কুমার একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here