বাংলা খবর, নিউইয়র্ক:
নিউইয়র্কে বাংলাদেশীদের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র জ্যামাইকাতে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া নাজমা খানম মামলার চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ শুনানি আর যুক্তিতর্ক শেষে খুনি হত্যাকারি ইয়োনাতন মার্টিনকে ২৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবারের এ রায়ের পর জানিয়েছেন, নাজমা খানমের পরিবার। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ২০১৬ সালের আগস্টে জ্যামাইকার হিলসের নরম্যাল রোডে খুন হয়েছিলেন নাজমা খানম। দুবছর পর ওই মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, কুইন্সের জ্যামাইকা নাজমা খানম খুনে জড়িত ব্যাক্তিকে জামিন অযোগ্য ২৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। বিবৃতি ডিস্ট্রিক এটর্নী আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একই সাথে নাজমা খানম পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমেবদনা জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী ব্রাউন। এক বার্তায় তিনি বলেন, একটি পরিবারের হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনকে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়; তবুও খুনির সর্বোচ্চ সাজার বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট ছিলাম। এসময়ে তিন হত্যাকান্ডের ভয়াবহতার বর্ণনাও আদালতে উত্থাপনের বিষয়টি তুলে ধরেন। জানান, সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নাজমা খানম খুনি ‘ইয়োনাতন মার্টিন’কে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশী নাজমা ও খুনি মার্টিন (সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত)
প্রায় দুই বছর পর এমন রায়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা । ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট জ্যামাইকার হিলসাইড নরম্যাল রোডের ওপর নিজ বাসস্থানের কাছেই প্রাণ হারান নাজমা। দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর থেকেই ফুঁসে উঠে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটির। অভিযোগ করা হয় হেইট ক্রাইমের শিকার হয়েছিলেন নাজমা খানম। জোরালো দাবি উঠে খুনিকে গ্রেফতার’সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।এর কয়েকদিনের মাথায় ২৫ বছর বয়সি হিস্পানিক বংশোদ্ভূত খুনি ‘ইয়োনাতন মার্টিন’কে গ্রেফতার করা হয়। অবশেষে খুন আর ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাকে দু’দফা শাস্তির ঘোষণা করে আদালত। ষাটোর্ধ্ব বাংলাদেশী অভিবাসী নাজমা খানমকে খুনে করায় জামিন অযোগ্য ২৫ বছর আর ছিনতাইয়ে অভিযোগে আরো ১৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। দুটো ঘটনায় সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়া এমন শাস্তি দিয়েছেন কুইন্সের ক্রিমিনাল কোর্ট। রায়ের পর টাইম টেলিভিশনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, ঘটনার শিকার নাজমা খানম পরিবার।