যুদ্ধাপরাধী আর সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা ক্ষমতায় এলে দেশের অকল্যাণ হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ আয়োজিত বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঠেকাতে না পেরে জাতি হিসেবে দুর্বল করে দেওয়ার ঘৃন্য চেষ্টার অংশ হিসেবে মঞ্চস্থ হয় ১৪ ডসিম্বের। স্বাধীনতার মাত্র দু’দুদিন আগে হত্যা করা হয় এ দেশের মেধাবী সন্তানদের।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান যেমন যুদ্ধাপরাধী ও খুনিদের পুনর্বাসন করেছিল, ঠিক একইভাবে ড. কামাল আর বিএনপিও যুদ্ধাপরাধী এবং প্রমাণিত অপরাধীদের হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়েছে।’ এটাকে মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে তাদের বয়কটের আহ্বান জানান। স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিজয় মাসে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিই জয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাভাই, জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীরা সবাই-ই মোটামুটি মনোনয়ন পেয়ে গেছে। যারা মানবতাবিরোধী কাজ করেছে, এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে?’

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণমন্ত্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তানদের মধ্যে ডা. নুজহাত চৌধুরী ও শমী কায়সারও বক্তব্য রাখেন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করেছিলেন। আইয়ুব খানের আমল থেকেই দেখা, মিলিটারি ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য একটি দল গঠন করে এবং প্রহসনের নির্বাচন করে। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানও তাই করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন, তাতে যুদ্ধাপরাধীদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার ছিল না।’
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here