মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার নির্লজ্জভাবে বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে। এ নির্বাচন আমাদের দেশের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এ দেশে গণতন্ত্র থাকবে কিনা, জনগণের বাক স্বাধীনতা থাকবে কিনা, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে কিনা।

তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, গ্রেপ্তার বন্ধ করুন না হলে সব দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। জনগণের ওপর নির্যাতনের দায় আপনাদের নিতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজ বিজয়ের দিন, আর আমরা লড়াইয়ে আছি। সেটি হলো ভোটের লড়াই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটা পাতানো নির্বাচমের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে।

তিনি বলেন, গত ৫ বছরে যত নির্বাচন হয়েছে সব গুলো নির্বাচন তারা ছিনতাই করেছে। এবারো ভাবছে তারা ৫ জানুয়ারির মতো পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার সরকারকে আর ওয়াক ওভার দিব না। খালি মাঠে গোল দিতে দিব না।

মান্না বলেন, আমরা যখন নির্বাচনে যাবো ঘোষণা দিলাম তখন ই আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। আমাদের প্রার্থীদের হামলা করছে প্রচারণা চালাতে দিছে না।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আমরা নিবাচনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা আবার ষমতায় থাকার জন্য পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে। সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করবে৷ এটা বিজয় দিবসে আমাদের আহ্বান দেশের জনগণের কাছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here