বাংলা খবর ডেস্ক:
নতুন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদে সিলেট-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী সাংসদ ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে এম আবদুল মোমেনকে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ঘোষিত ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই দায়িত্ব পান সদ্য বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছোট ভাই ড. মোমেন। তার মন্ত্রী হওয়ার খবর প্রবাসে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন। এ খবরে প্রবাসে বইছে আনন্দের বন্যা।
উল্লেখ্য, নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন এবং উপমন্ত্রী হলেন তিন জন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থানীয় সময় আগামীকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা।
এবারের নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ধানের শীষের প্রার্থী মুক্তাদির থেকে দ্বিগুণেরও বেশী ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের ড. এ কে আব্দুল মোমেন পেয়েছেন ৩ লাখ ১হাজার ২টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খন্দকার মুক্তাদির পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১১৯টি ভোট। যা মোমেনের প্রাপ্ত ভোটের অর্ধেকেরও কম।
এদিকে, নতুন মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হওয়ায় ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউএসএ বালাদেশী অর্গানাইজেশন ইনকের সভাপতি ও ম্যানহাটান বাংলা সাংস্কৃতিক স্কুলের সিইও ইকবাল আহমেদ মাহবুব।
ইকবাল আহমেদ মাহবুব সংবাদ পত্রে প্রেরীত এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, আলোকিত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র সভাপতি ড.এ কে আব্দুল মোমেনকে যেন মহান রাব্বুল আলআমিন তাওফিক দান করেন, সে প্রার্থনাই করি।
এছাড়াও নয়া মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনীতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সৎ, সজ্জন এই সাবেক সফল কুটণীতিক ড. মোমেনকে মন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কৃপণতা করেননি প্রবাসীরা।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর ড. মোমেন বাংলাদেশে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালের আগস্টে তাকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিলে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি সে দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেন। পরে ড. মোমেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।