পুরান ঢাকায় কোনো রাসায়নিক কারখানা কিংবা গুদাম থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে তিনি অভিযান শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার দু’দিনের মাথায় এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চকবাজারের দুর্ঘটনাস্থলের কাছের একটি মসজিদে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ অগ্নিদুর্ঘটনা তার ব্যর্থতার কারণে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণই তা বিচার-বিবেচনা করবেন।

নিরাপত্তার জন্য পূরাণ ঢাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত সেগুলোর সংযোগ দেয়া হবে না বলে জানান মেয়র।

তিনি আরো বলেন, এতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে এ আগুনে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ৩৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) একেএম শাকিল নেওয়াজ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ভেতরে এখনও জ্বলছে। রাসায়নিকসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন পুরো নেভাতে অনেক সময় লাগবে।

চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে ৭০ জন, এছাড়াও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ভোরের দিকেও দগ্ধ অবস্থায় লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেন, উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর হতাহতের সঠিক তথ্য জানা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here