বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। নিরাপত্তাকর্মীরা এটি ঘিরে রেখেছেন।

বিমানটি রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে জরুরি অবতরণ করে। বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিমান সচিব মহিবুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একজন যাত্রী ও একজন কেবিন ক্রু ছাড়া আর কেউ ভেতরে নেই। রানওয়েতেই অবস্থান করছে উড়োজাহাজটি। সেটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

সিএমপির (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) আমেনা বেগম বলেন, ‘একটি বিমান দুবাই যাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো সেটি যায়নি। যাত্রীরা বিমান থেকে নেমে এসেছেন। আমাদের পুলিশ সদস্যরা বিমানটিকে ঘিরে রেখেছে। আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি, আসলে ভেতরে কে বা কারা আছে। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছি। পরিস্থতি বোঝার চেষ্টা করছি।’

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মো. এরশাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের ছয়টি ফায়ার স্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি ইউনিটি বিমানবন্দরের দিকে মুভ করেছে। তারা বিমানবন্দরে অবস্থান করছে।’

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-৯-এর অধিনায়ক মাহবুবু রশীদ বলেন, ‘বিমানটি রানওয়েতে রয়েছে। নিয়মিত পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন। বিমানটি থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমানটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বিমানটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পর এক যুবক হাতে পিস্তলসদৃশ একটি বস্তু (সেটি পিস্তল হতেও পারে, খেলনাও হতে পারে) নিয়ে ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে। তখন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বিমানটির কেবিন ক্রুরা সাংকেতিকভাবে পাইলট গোলাম শাফিকে বিষয়টি অবহিত করেন। তখন পাইলট সিকিউরিটি প্রসিডিউর অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরবর্তীতে পাইলট বিমানটি চট্টগ্রামে অবতরণ করান। ক্রুরা যাত্রীদের দ্রুত বিমান থেকে বের করে দেন। শুধু সেই যাত্রী ও ক্রু সাগর বিমানটির ভেতরে আছেন।’

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরে বিভিন্ন কারণে পাইলটের মনে হয় উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের আশঙ্কা আছে। এ কারণে শাহ আমানতে এটি জরুরি অবতরণ করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here