সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বাড়লেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। শনিবার এনটিভির এইসময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে উৎসাহি না। যে জায়গায় মানুষ জেনে ফেলে তার ভোটের কোন প্রভাব ফেলবে না। তখন মানুষ আর ভোটের প্রতি আগ্রহ রাখে না । বাংলাদেশে এখন নির্বাচন নিয়ে মানুষের এই ধারণা।
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিএনপি না থাকায় ভোটে যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ সৃষ্টিহয়, তা ব্যহত হবে বলে আমি মনে করি। যেহেতু উপজেলা নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন, দলীয় প্রতীকে হলেও, স্থানীয় ভাবে ভোটার সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। উপজেলা নির্বাচন নিরুউত্তাপ হওয়ার আর একটি কারণ উপজেলা চেয়ারম্যানদের কোন কাজ নেই, তাদের কাজ এমপিরা করে ফেলেন। আর একটি কারণ, সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে, কয়েকটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনে উক্তিটি যদি আমরা শুনি তাহলে বিএনপি যে বলে আসছে আগের রাতে ভোট হয়, একথার সত্যতা আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের উক্তিতে উঠে আসে। তা হলে অবাধ সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাাচন আমরা কী করে আসা করি। যেখানে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ, সেখানে সঠিক নির্বাচন আশা করা বোকামী ছাড়া আর কী।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলতে পারে, এটা করবো ওটা করবো, অবাধ হবে যার ভোট সে দেবে। কিন্তু ফলাফল ওটাই হবে, যেটা ক্ষমতাবানরা চাইবে। নির্বাচনের প্রতি মানুষের একটা অনিহা এসে গেছে।