নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট ম্যাচে দল ব্যর্থ কিন্তু সফল আছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছেন সেঞ্চুরি দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান। দ্বিতীয় টেস্টের ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও করলেন ৭৪ রান। টানা তিন ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের হার্ট হিটার এই ব্যাটসম্যান।

এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে কঠিন কন্ডিশন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করা খুব সহজ নয়। তবে এসব জায়গায় তামিমের রেকর্ড বেশ ভালো। টেস্টে এই চার দেশের সম্মিলিত রেকর্ডে অনেক বড় বড় এশিয়ান ব্যাটসম্যানদেরও রেকর্ড খুব একটা ভালো নয় যদিও তারা বাংলাদেশের তুলনায় ঘন ঘন সুযোগ পায় এই সকল দেশে টেস্ট খেলার। সেইদিক দিয়ে এসব কন্ডিশনে খুব কম সুযোগ পাওয়া তামিম খারাপ করেননি।

এই শতাব্দীতে উক্ত চার দেশে টেস্টে কমপক্ষে ১০০০ রান করা এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের তালিকায় গড়ের দিক দিয়ে আছেন ৫ম স্থানে। মাত্র ৫ জন খেলোয়াড়ের টেস্ট গড় ৪৫ এর উপরে এই কঠিন কন্ডিশন গুলোতে। তামিম তাদের একজন। বাকিরা হলেন ভারতীয় লিজেন্ড শচীন, দ্রাবিড়, কোহলি ও শ্রীলঙ্কান কুমার সাঙ্গাকারা। তামিমের রান ১২ টেস্টে ২২ ইনিংসে মোট ১০০৩, গড় ৪৫.৫৯। শচীনের গড় সবচেয়ে বেশি। শচীনের সংগ্রহ ৫২ গড়ে ৩২২৭, ২য় স্থানে থাকা কোহলির সংগ্রহ ৪৯ গড়ে ২৭৭৩। দ্রাবিড় ৪৮ গড়ে ৩০৩১ রান নিয়ে আছেন ৩য় স্থানে, তারপর আছেন সাঙ্গাকারা। ৪৫ গড়ে তার রান ২৪৩৫। গড়ের দিক দিয়ে তামিমের পিছে রয়েছেন ভারতীয় লিজেন্ড ভিভিএস লক্ষ্মণ, সৌরভ গাঙ্গুলীর মত তারকা ব্যাটসম্যানেরা।

তামিমের এখনো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোন টেস্ট খেলা হয়নি। ইংল্যান্ডের মাটিতে সেই ২০১০ সালের সিরিজের পর পুনরায় সুযোগ হয়নি টেস্ট খেলার। চলমান টেস্ট সিরিজে আরো ৩টি ইনিংস খেলার সুযোগ হবে তামিমের। তামিম নিশ্চয় চাইবেন তার রেকর্ডটা আরো উন্নত করার বাকি ইনিংস গুলোতে ভালো করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here