ভোট ডাকাতি, জবরদখল ও হামলা-হুমকির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির সম্মেলন উপলক্ষে নবগঠিত যুগ্ম আহ্বায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের অহংকারের জায়গা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পাদপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার ফ্যাসিবাদের নগ্ন থাবায় এক ধরনের নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ইতিহাসে সব থেকে মর্মান্তিক ঘটনা। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের গণতন্ত্রের স্বপক্ষে ভূমিকা ছিল আগাগোড়া। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনের দিন এবং আগের রাতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শুধু নয়, কর্মচারী ও শিক্ষকদের একটি বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। দুদু বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার দায়িত্ব আবার ঢাবি শিক্ষার্থীদেরকেই নিতে হবে।

পাশাপাশি যে সমস্ত বিপ্লবী শিক্ষক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে আছেন, যারা কখনোই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সঙ্গে আপস করেননি তারাও ছাত্রদের সঙ্গে পাশে এসে দাঁড়াবেন বলে আশা করছি। দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেই লড়াইয়ে যদি আমরা জয়লাভ করতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্নতার দিকে এগিয়ে যাবে। মতবিনিময় সভায় কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মাস্টার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, এসকে সাদী, মাইনুল ইসলাম, কৃষিবিদ মিজানুর রহমান লিটু, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আলমগীর চৌধুরী ও কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here