আত্মজীবনী মানেই কিছু অপ্রিয় সত্য কথা উঠে আসে। শহীদ আফ্রিদিও নিজের আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ নিজের কিছু না জানা অধ্যায় তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বয়সের গড়মিল।
এতদিন জানা গিয়েছিল আফ্রিদির জন্ম ১ মার্চ, ১৯৮০। তার পাসপোর্টে অন্তত এমনটাই লেখা আছে। কিন্তু আত্মজীবনীতে আফ্রিদি জানান, তার জন্ম আরো আগে, ১৯৭৫ সালে। নিজের বয়সের গড়মিল খোলাসা করতে গিয়ে নতুন এক ফ্যাসাদে পড়লেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। বয়সের গড়মিলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে তার একটি রেকর্ড।
১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে বসেন আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। যা কিনা সেই সময়ে ওয়ানডে সংস্করণে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সেঞ্চুরি করার দিন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ২১৭ দিন। যা ওয়ানডেতে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবেও রেকর্ডের খাতায় নাম লেখায়।
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি পরে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ভেঙে দেন। কিন্তু এখনো অক্ষত আছে আফ্রিদির সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড।
কিন্তু সেই রেকর্ডটিও আজ হুমকির মুখে। না অন্য কোন ব্যাটসম্যান এর চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করেননি। সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ড বই থেকে আফ্রিদির নাম মুছে যেতে পারে তার নিজের কারণেই। মানে বয়স নিয়ে লুকোচুরির কারণে।
আত্মজীবনীতে আফ্রিদি জানিয়েছেন, ওই সেঞ্চুরি করার দিন তার বয়স ১৬ নয়, ছিল ১৯ বছর। অবশ্য বইয়ে উল্লেখিত জন্ম সাল (১৯৭৫) অনুযায়ী আফ্রিদির প্রকৃত বয়স হওয়ার কথা ২১ বছর। যাই হোক, সে ক্ষেত্রে ওয়ানডের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে আফ্রিদি নাম থাকার কথা নয়।
এমনটা ঘটলে ওয়ানডেতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে চলে আসতে পারেন ওসমান ঘানির নাম। আফগানিস্তানের এই ব্যাটসম্যান ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৭ বছর ২৪২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেন। শুধু তাই নয় আফ্রিদির জন্ম সাল ১৯৭৫ হলে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের শীর্ষ দশেও থাকবেন না তিনি।