অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে লঞ্চ-স্পিডবোট

0
369

রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি ছিল, আর সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। তবুও ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় রোববার কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। ফেরিতেও যানবাহনের চাপ রয়েছে।

তবে বেশি ভিড় লঞ্চে। লঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা ঘাটে অবস্থান করলেও এ ব্যাপারে তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরি ও লঞ্চ আনা হয়েছে। ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর সঙ্গে স্বল্প দূরত্বের নৌরুট হওয়ায় রোববার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিমুলীয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট হয়ে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ভিড় পড়ে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা সড়ক পথে শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পার হচ্ছেন। প্রতিটি লঞ্চ, স্পিডবোটই রয়েছে যাত্রীবোঝাই। ঘাটে বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা থেকে আগত কর্মকর্তারা অবস্থান করলেও যাত্রী ওঠানোর ক্ষেত্রে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। ফলে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেই ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরিগুলোতেও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। প্রতিটি যানবাহনেই বাড়তি ভাড়া দিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসছেন যাত্রীরা।

Kathalbari

স্পিডবোটের যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, যাওয়ার সময়ও ২শ টাকা, আসার সময়ও ২শ টাকা। আবার মাইক্রোবাসে কালনা ঘাট থেকে দেড়শ টাকার ভাড়া নিল সাড়ে ৩শ টাকা।

ঢাকাগামী যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘসময় লঞ্চে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু সব লঞ্চই বেশি যাত্রী নিচ্ছে তাই অপেক্ষা করছি বড় লঞ্চের জন্য। বর্ষা মৌসুম চলছে, এভাবে যাত্রী নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। ফেরিতেও পার হতে পারি।

এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ যাত্রীদের চাপ রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও র‌্যাব ঘাটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here