এক ফ্রেমে তারা তিন জন

0
64

একজন বর্তমান, একজন সাবেক। অপরজনকে আবার ভবিষ্যৎ মেয়র হিসেবে দেখছেন সিলেটের সচেতন নাগরিকেরা।

রবিবার সিলেটের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই তিন জন একসাথে উপস্থিত হয়ে আলো ছড়িয়েছেন।

একজন সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।

অপরজন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

অপরজনকে সিলেটের ভবিষ্যৎ মেয়র হিসেবে দেখছেন সচেতন নাগরিকদের কেউ কেউ। তিনি দি সিলেট চেম্বারের সদ্যনিযুক্ত প্রশাসক ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এরপর তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়র পদে আর নির্বাচন করবেন না।

এদিকে আসাদ উদ্দিন গত নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য ব্যাপক দৌঁড়ঝাঁপ করেছেন। তবে দল কামরানকেই মনোনয়ন দিয়েছিল। এরপরও আসাদ দলের পক্ষে নির্বাচনী ময়দানে ছিলেন।

আগামী নির্বাচনে যাতে মনোনয়ন আদায় করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এখনো তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মোটামুটি আগামীতে আসাদের দলীয় মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। সেই হিসেবে তার ভক্ত অনুরাগীরাসহ অনেকেই তাকে ভবিষ্যৎ মেয়র হিসেবে আখ্যায়িত করতে শুরু করেছেন।

রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও সিলেটের রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একসাথে উপস্থিত হয়ে পরস্পরের সাথে কুশলাদী বিনিময় করেন। এটি সিলেটের পুরানো ঐতিহ্য।

তারই ধারাবাহিকতায় এই তিন নেতা রবিবার দুপুরে মিলিত হয়েছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মাইশা তুহেরী ইসলামের বিয়ে ছিল নগরীর আমান উল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে।

সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আসাদ উদ্দিন আহমদ বর-কনেকে শুভেচ্ছা জানান ও দোয়া করেন।

এসময় তারা তিন জনই একসাথে ছবি তুলতে হাসিমুখে মিডিয়া কর্মীদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুরাগীদের কেউ কেউও ছুটেছিলেন তাদের কাছে। তারাও খুশি মনে অনুরাগীদের দাবি মিটিয়েছেন সসম্মানে।

সিলেটের এই তিন নেতার স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানটির আকর্ষণ বহুগুণ বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী, বর ও কনে পক্ষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here