দ.আফ্রিকার কাছে হেরে সেমির আশা শেষ হলো শ্রীলঙ্কার

0
515

‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে মাঠে নেমে কোনও দাপট দেখাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। উল্টো ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার গতির সামনে পরাস্ত হয়েছে বারবার। আর বোলিংয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের সামনে একেবারে অসহায় ছিলো লঙ্কান বোলাররা। আজকের ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনালের আশা মোটামুটি বেঁচে থাকতো। কিন্তু আজ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ উইকেটে হেরে সে আশাটাও শেষ হয়েছে।

সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে জয় ছাড়া কোন বিকল্প নেই এবং হারলে বিদায় নিশ্চিত লঙ্কানদের। এমন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগে ব্যাটিং করে ২০৪ রানের ছোট্ট লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিলো ম্যাথুস ও পেরেরারা। জবাবে শুরুতে একটি উইকেট হারালেও আমলা ও ডু প্লেসিসের অনবদ্য ১৭৫ রানের জুটিতে বড় জয়েই আসর শেষ করতে চলেছে।

হাশিম আমলা ৮০ ও দলনায়ক ডু প্লেসিস ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচ যখন শেষ হলো তখনও খেলার ৭৬টি বল বাকি ছিলো। ১৫ রান করে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেছিলেন কুইন্টন ডি কক।

টস হেরে ক্রিজে নেমে ইতিহাসের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন করুণারত্নে। পরে দলের হাল ধরেন কুশাল পেরেরা ও আভিস্কা ফার্নাদো। ৬৭ রানে জুটি গড়ার পর উইকেটে আঘাত হানেন প্রেটোরিয়াস। দশম ওভারের পঞ্চম বলে ৩০ রানে ফার্নান্দোকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন তিনি। দলীয় ৭২ রানে কুশালকে (৩০) ফেরান প্রেটোরিয়াস।

এরপর দলীয় শত রানের মাথায় ক্রিজ মরিসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ম্যাথুস। এর ১১ রান পরই মরিসের হাতে বন্দি করে কুশাল মেন্ডিসকেও (২৩) ফেরান তিনি।

ডি সিলভা আশা দেখালেও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ডুমিনির প্রথম বলেই ২৪ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন থিসারা পেরেরা ও জীবন মেন্ডিস। কিন্তু মেন্ডিসকে (১৮) প্রেটোরিয়াসের হাতে বন্দি করে দলীয় ১৬৩ রানে ফিরিয়ে দেন মরিস। ২১ রান করে ফিরে যান পেরেরাও। আন্দেইল ফেলুকাওয়োর বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন রাবাদা। দলীয় ১৯৭ রানে ৯ম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ইসুরু উদানাকে (১৭) ফিরিয়ে দেন রাবাদা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের ২০৩ রানে আউট হয়ে যান লাসিথ মালিঙ্গা (৪)। দ.আফ্রিকার হয়ে মরিস ও প্রেটোরিয়াস তিনটি করে, রাবাদা দুটি এবং ফেলুকাওয়ো ও ডুমিনি একটি করে উইকেট নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here