বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলে ১৯৯৯ সালে। ১৯৭৫ থেকে খেলছে ভারত। ক্রিকেট মহাযজ্ঞে দুই দলের প্রথম লড়াই ২০০৭ সালে। ম্যাচটিতে মাশরাফির অনবদ্য বোলিংয়ে ভারত থমকে গিয়েছিল ১৯১ রানে। গতি, সুইংয়ে ও বাউন্সের অপূর্ব মিশেলে মাশরাফি একাই বিধ্বস্ত করেছিলেন প্রতিবেশী দেশকে।
ম্যাচ সেরা মাশরাফির স্পেল ছিল ৯.৩-২-৩৮-৪। ১৯২ রানের টার্গেটে ৫ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য ওই তিন হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম, সাকিব ও মুশফিক। ওপেন করে তামিম ৫১ রান করেছিলেন ৫৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায়। ওয়ান ডাউনে মুশফিক ৫৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন ১০৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। সাকিবের ৫৬ রানের ইনিংসটি ছিল ৯৪ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে।
এক যুগ আগের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচের একাদশের চার ক্রিকেটার আজও মাঠে নামছেন। ম্যাচসেরা মাশরাফি এবার দলনেতা। বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে ৪৭৬ রান এবং ১০ উইকেট নিয়ে দুরন্ত ফর্মে সাকিব। অসাধারণ খেলছেন মুশফিকও। এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরিতে ৩৫৬ রান ও তামিমের রান ২০৫। চার ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সই নির্ভরতা জোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
এদিকে, ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বাজেভাবে হেরেছে ভারত। আর এতেই চলতি বিশ্বকাপে প্রথম পরাজয়ের মুখ দেখে দলটি। রবিবারের ম্যাচটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব গণমাধ্যম তো বটেই ভারতীয় গণমাধ্যমও ছেড়ে কথা বলেনি।
সেদিন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে গেলে সেমিফাইনালে পৌঁছেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামতে পারতেন ধোনিরা। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় এখন বাংলাদেশ ম্যাচই ভারতের পাখির চোখ। এরপর রয়েছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচও।
সাত ম্যাচে সাত পয়েন্টে রয়েছে বাংলাদেশের। সুযোগ রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ১১ পয়েন্টকে ছাপিয়ে যাওয়ার।
বাংলাদেশ-ভারতের পরিসংখ্যান
ম্যাচ: ৩৫
ভারতের জয়: ২৯
বাংলাদেশের জয়: ৫
ড্র: ০
কোনও ফল হয়নি: ১
এছাড়া বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছে মোটে তিনবার। এরমধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে এক জয় আর ভারত পেয়েছে দুই জয়।