বহ্নিশিখার রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

0
86

কবিতা, গান, কথামালা, আবৃত্তি আর নানা আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করলেন বহ্নিশিখার শিল্পীরা। গত মে মাসে ছিল মহান এ দুই কবির জন্মদিন।

এ উপলক্ষে রাজধানীর সুফিয়া কামাল কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা কথন, গান, আবৃত্তি আর নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরে তাদের সৃজনকর্ম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বহ্নিশিখার সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। ড. আতিউর রহমান বলেন, রবীন্দ্র ও নজরুলের রচনার প্রাচুর্যতার মধ্য দিয়ে সবার উপরে তারা মানুষকে প্রাধান্য দিয়েছেন, মানুষের জয়গান গেয়েছেন। সমগ্র মানুষ জাতিকে এক করে দেখেছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মেলক কণ্ঠে বহ্নিশিখার শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘গহন কুসুমকুঞ্জ-মাঝে’। সঙ্গে ছিল নৃত্য। তারা গেয়ে শোনান ‘রুমঝুম রুমঝুম কে বাজায়’। সংগঠনের নৃত্যশিল্পীরা ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।

সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদের কণ্ঠে গীত হয় ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’ এবং উদীচীর শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ ও ‘সংকোচের বিহ্বলতা’। সম্মেলক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ক্রান্তি ও স্বভূমির শিল্পীরা।

একক কণ্ঠে শিমুল সাহা ‘উচাটন মন ঘরে রয় না’, আবিদা রহমান সেতু ‘সখি বাঁধলো বাঁধলো’, আসিফ ইকবাল সৌরভ ‘পদ্মার ঢেউরে’ এবং মোহনা দাস ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ গেয়ে শোনান। একক কণ্ঠে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী কমলিকা চক্রবর্তী। আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম, ফয়জুল আলম পাপ্পু, নায়লা তারান্নুম কাকলী ও মাহফুজা আক্তার মিরা।

বহ্নিশিখার শিল্পীদের কণ্ঠে ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here