রাজধানীর ওয়ারীতে সামিয়া আফরিন সায়মার (৭) নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আজ শনিবার সকালে মামলা হয়েছে। সায়মার বাবা আব্দুস সালাম অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারি থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়।
মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তাঁর বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন।
ওয়ারী থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মাগরিবের নামাজের সময় মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার একটি কক্ষ থেকে মেয়েটির লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ আদায়ে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা নেই। আমি ও আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয় তলা ও আট তলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আট তলায় তাকে খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।