সিলেট সদর যুবলীগ কমিটি নিয়ে আলোচনায় যারা

0
74

প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে কমিটিবিহীন সিলেট সদর উপজেলা যুবলীগ। একসময় একটি কমিটি থাকলেও তাদের কোন তৎপরতা কখনো দৃষ্টিগোচর হয়নি।

সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি যখন জগদীশ চন্দ্র দাশ ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, তখন একবার জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জুনায়েদ খোরাসানীকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এই কমিটি সদর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করতে পারেনি। কমিটিও গঠন হয়নি।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে (২০০৮) কমিশনার নির্বাচিত হওয়ার পর জগদীস চন্দ্র দাশ ও আজাদুর রহমান আজাদ দলীয় পদ ছাড়লে ভারপ্রাপ্ত সভাপিত হন শামীম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বর্তায় খন্দকার মহসিন কামরানের উপর।
তারা সর্বশেষ ২০১৭ সালে সিলেট সদর উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তখন নেতৃত্বে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্তও সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগটিও ভেস্তে যায়। আর তাই শহরতলীর গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলাটি যুবলীগের সাংগঠনিক তৎপরতার বাইরে।

তবে সম্প্রতি এ উপজেলায় যুবলীগের কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেই সাথে নেতৃত্বে কারা আসছেন, তা নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা।

জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদ জানিয়েছেন, কমিটি গঠনের ব্যাপারে সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলা যুবলীগের কাউন্সিল আগামী ২৭ জুলাই। এর আগেই সদর উপজেলা কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন শামীম। এমন প্রেক্ষাপটে নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হওয়া আলোচনায় রয়েছেন রয়েছেন ৪ সাবেক ছাত্রলীগের নেতা। তারা হলেন মো. ইকলাল আহমদ, মো. সাইদুর রহমান, আবুল হাসনাত ও মো. আশরাফ সিদ্দিকী।

এক্ষেত্রে যথেষ্ট এগিয়ে মো. ইকলাল আহমদ। তিনি সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ইকলালের পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তার রাজনীতির শুরু সিলেট সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৮ সালে। তখন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ইকলাল ওয়ান ইলেভেন সরকার ও সাবেক বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নির্যাতিত একজন নেতা হিসাবে স্থানীয় পর্যায়ে খুব শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। এমনকি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (২০১৬) খাদিমনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা সত্ত্বেও দলীয় নির্দেশনা মেনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

সভাপতি বা আহ্বায়ক পদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইদুর রহমানের নামও আছে আলোচনায়। তিনি সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক। ১৯৯৮ সালে পশ্চিম সদর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। তিনিও ওয়ান ইলেভেন সরকারের হাতে নির্যাতিত একজন নেতা। তার পিতা ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাতের নামও সভাপতি বা আহ্বায়ক হিসাবে আলোচনায় রয়েছে। তিনি এমসি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন ২০০১ সালে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একাধিকবার কারাবরণকারী এ নেতা ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলেও কারাবরণ করেছেন।

সিলেট সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বা আহ্বায়ক পদে জোরেশোরে নাম শোনা যাচ্ছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আশরাফ সিদ্দিকীরও। তিনি ২০০১ সালে মদনমোহন কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ২০১৩ সালে তিনি সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিম সিদ্দিকীও একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here