জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজধানীর সিএমএই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মারা যান। গত আট মাস যাবৎ অসুস্থ এরশাদ ২৬ জুন থেকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
এদিকে, গত কিছুদিন ধরে এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতির মধ্যেই দলটির নেতাকর্মীদের আলোচনায় এসেছে পার্টির চেয়ারম্যান মারা গেলে কোথায় কবর দেয়া হবে। সোমবার (৮ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে রংপুর অঞ্চলের নেতারা দাবী করেছেন, এরশাদের ওছিয়ত অনুযায়ী রংপুরের পল্লী নিবাসেই সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে যেন দাফন করা হয়।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশাও। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যারকে রংপুরে সমাহিত করার ব্যাপারে রংপুরের প্রতিটি মানুষ একমত। আমিও তাদের অনুভূতির সাথে একমত পোষণ করছি। আর যেহেতু পল্লী নিবাসটি স্যার এরিখ এরশাদকে দিয়ে গেছেন সেহেতু তাকে পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হলে এরিখ সবচেয়ে সম্মানিত হবে। রংপুরের মানুষের অনুভূতিকে এরিখ সম্মান জানাবে।’
এর আগে গত ৩ জুলাই এরশাদের অসুস্থতা এবং তিনি মারা গেলে কোথায় সমাহিত করা হবে এ নিয়ে প্রেসিডিয়ামের বৈঠক হয়। আড়াইঘণ্টা ব্যাপি বৈঠকে জাপার ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে এরশাদকে সমাহিত করার জায়গার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি। সেখানে জাতীয় নেতা হিসেবে এরশাদকে সেনানিবাস অথবা আসাদ গেটের বিপরীতে সংসদ ভবন প্রাঙ্গন, মোহাম্মদপুর আদাবরে কবরস্থান, জাতীয় তিন নেতার মাজারসহ বিভিন্নস্থানের কথা আলোকপাত হয়। কিন্তু সেখানে রংপুরে দাফনের ব্যাপারে কোন কথা হয়নি।