জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, কবরের মধ্য থেকে শুনতে পেলে উনি লজ্জা পেতেন: তথ্যমন্ত্রী

0
55

বাংলা খবর ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তার জীবদ্দশায় কখনও দাবি করেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপি যেভাবে বলে, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, আমার মনে হয় কবরের মধ্যে যদি উনি শুনতে পেতেন, তাহলে লজ্জা পেতেন।

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত ‘তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় প্রচার উপকমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া আর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা এক বিষয় নয়। এর মধ্যে পার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন, সে ঘোষণা বহুজন পাঠ করেছেন। ২৬ মার্চ বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান। এরপর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে পাঠ করানোর, তখন জিয়াউর রহমানকে দিয়ে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। যে কোনো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং ক্ষমতা এককেন্দ্রিক কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্যারিশম্যাটিক লিডার। শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর মতোই। বাবার সব গুণই তিনি পেয়েছেন।

কিছুক্ষেত্রে তিনি তার বাবাকেও ছাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here