কাশ্মীর থেকে চলে যেতে বলা হলো ইরফান পাঠানদের

0
67

বাংলা খবর ডেস্ক: শুক্রবার কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রাপথ থেকে স্নাইপারসহ বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার করা হয়। এরপরই অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের অবিলম্বে কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয়, সেটা বোঝা যাচ্ছে নতুন এক ঘোষণায়। ইরফান পাঠানকে কাশ্মীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার অমরনাথ যাত্রাপথ থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা, একটি ল্যান্ডমাইন ও একটি টেলিস্কোপিক স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার করেছেন ভারতের সেনাসদস্যরা। এরপরই নিরাপত্তার কারণে অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের অবিলম্বে উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। কাশ্মীর উপত্যকায় বার্ষিক তীর্থযাত্রীদের ওপর বিদ্রোহীরা হামলা চালাতেই এসব অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল বলে ধারণা ভারতের সেনাবাহিনীর।

আজ ইরফান পাঠান ও জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের অন্য সদস্যদের রাজ্য ছেড়ে যত দ্রুত সম্ভব চলে যেতে বলা হয়েছে। খবরে প্রকাশ, জম্মু-কাশ্মীর সরকার রাজ্য দলের মেন্টর ইরফানকে দ্রুত চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে। তাঁর সঙ্গে দলের কোচ মিলাপ মেবাদা ও ট্রেনার সুদর্শন ভিপিকেও রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক হুসেইন বুখারু বলেছেন, অ্যাসোসিয়েশন ইরফান ও অন্য স্টাফদের দ্রুত রাজ্য ছাড়ার জন্য বলেছে। এ ছাড়া অন্য সদস্য ও নির্বাচক যাঁরা অন্য রাজ্যের লোক, তাঁদেরও দ্রুত চলে যেতে বলা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে জেকেসিএ। অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৯ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১০০ ক্রিকেটারকে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে আবাসিকভাবে থাকা সব ক্রিকেটারই বাড়ি চলে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টুইটারে, ‘তীর্থযাত্রী, টুরিস্ট, শ্রমিক, ছাত্র ও ক্রিকেটারদের কাশ্মীর থেকে বের করে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। কাশ্মীরকে তবু শান্তি বা নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো চেষ্টা করা হচ্ছে না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here