বিজেপির বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে নেয়া হয়। সেখানেই তার জীবনাবসান ঘটে। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই ক্যারিশমাটিক নেতা শুধু ভারত নন, প্রতিবেশী দেশসহ সারাবিশ্বেই ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত মুখ।
সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী এবং মন্ত্রীরা হাসপাতালে ভিড় করেন। হাসপাতালে ছুটে যান নিতুন গড়কারি, হর্ষবর্ধন, রাজনাথ সিং এবং স্মৃতি ইরানি। এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাই অংশ নেননি লোকসভা নির্বাচনে। নেননি মন্ত্রীত্বও। মৃত্যুর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন সুষমা। তিনি লিখেন, ‘আপনাকে ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আমার জীবনে একবার এই ঘটনাটি দেখতে চেয়েছিলাম।’
সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটারে নিজের স্বতঃস্ফূর্ততার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। কেউ তাকে বার্তা দিলে তিনি জবাব দিতেন।
এই মাসেই ছড়িয়েছিলো, তিনি অন্ধ্র প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধনও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
সুষমা স্বরাজ ৯ বার এমপি হয়েছেন। যখন বিজেপি দশটিরও কম আসন পেতো, তখনও তিনি পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও বাজপেয়ী সরকারের তথ্য, সম্প্রচার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।