গ্রেনেড হামলা মামলা: ৪ মাসের মধ্যে পেপারবুক, এ বছরই শুনানি

0
74

বাংলা খবর ডেস্ক: একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলার পেপারবুক আগামী চার মাসের মধ্যে তৈরির পর এ বছরই হাইকোর্টে শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

গ্রেনেড হামলা মামলায় ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এ মামলায় ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আরও ১৬৪ জনসহ সর্বমোট এ মামলায় ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর সওয়াল-জবাব তো আছেই। সব মিলে এটি বৃহৎ হবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত মামলাটি তৈরি করে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যতালিকায় এনে শুনানি শুরু করতে।’

মামলার পেপারবুক তৈরিতে এরই মধ্যে ১০ মাস কেটে গেছে, আর কত সময় লাগবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়টুকু কিন্তু লাগে। আমরা চেষ্টা করব, যত তাড়াতাড়ি পারা যায়। আমার কাছে যতদূর সংবাদ আছে, এটি ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যে রেডি হয়ে যাবে।’

আমরা কি বলতে পারি, এ বছরের মধ্যে হবে; জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই বছরের মধ্যে শুনানি শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রসিকিউশন থেকে দেখব, এই পেপারবুক তৈরিটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সেটি যেন হয়।’

গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে এনে বিচার কার্যকর করব।

মামলার দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিচারিক আদালত যদি কাউকে ফাঁসি দেন, তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী সেই মামলা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা; এখানে রায়ে কিছুসংখ্যক আসামির ফাঁসি হয়েছে, কিছুসংখ্যক আসামির যাবজ্জীবন হয়েছে। ফাঁসি হওয়ার কারণে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে চলে গেছে।’

‘যারা যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন, তারাও আপিল করেছেন। হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ম হচ্ছে- ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলটাকে একসঙ্গে ট্যাগ করে তারা শুনানি করে। সে ক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে, যেগুলো পূর্ণ করতে হয়; এ জন্য সময় লেগে গেছে’-যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। তাদের স্মরণে প্রতি বছর নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here