বাংলা খবর ডেস্ক: অন্য দেশে হলে খুনি হিসেবে বিএনপি নেতাদের শুধু বিচারই হতো না, রাজনীতি করার অধিকারও থাকতো না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান হলে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে’ চলচ্চিত্র লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি খুনির দল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্ররোচক, ষোলশ’ সেনাসদস্য হত্যা করেছেন, তার স্ত্রীর কারণে শত মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে আর ফখরুল-রিজভীরা সেই খুনিদের দোসর। অন্য দেশে হলে, এদের শুধু বিচারই হতো তা নয়, রাজনীতি করার অধিকারও থাকতো না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যও হত্যাকাণ্ড ঘটান। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন ও তাদের অপরাধের বিচার বন্ধ করতে সংসদে ইন্ডেমনিটি বিল পাস করান। আর বেগম জিয়া ওই খুনিদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।’
‘শুধু তাই নয়, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার জন্যই বেগম জিয়া নিজের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ আগস্ট বানিয়ে কেককাটা উৎসব করেছেন। এখন জনগণের ঘৃণার কারণে জন্মদিন ১৫ আগস্ট রেখে পরদিন কেক কাটেন। অন্য দেশে এমন জন্মতারিখ পরিবর্তনকারীকে হয় মস্তিষ্কবিকৃত আখ্যা দিতো, নয়তো জালিয়াতির দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতো।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের সূচনা হয়েছে এবং শেখ হাসিনার সরকার তাকে পুনরুজ্জীবিত করছে। সমাজের বিত্তবানদের এ শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগের সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রনায়ক আলমগীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছার, চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী মৌসুমী, ফেরদৌস প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
