আসিফা আশরাফী পাপিয়াও চাচ্ছেন প্লট

0
95

বাংলা খবর ডেস্ক: বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার প্লটের আবেদনে রাজনৈতি অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে শপথ নেয়ায় মাত্র দু’মাসের মধ্যে সরকারের কাছে ১০ কাঠার প্লট চেয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন। মন্ত্রীর কাছে পাঠানো রুমিনের চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।

এরইমধ্যে জানা গেছে, রুমিন ফারহানার পাশাপাশি বিএনপির আরও কয়েকজন প্লট চেয়ে আবেদন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে।

বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর কাছে নতুন করে প্লট চেয়ে আবেদন করেছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি থেকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাপিয়া বর্তমান সংসদে বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের স্ত্রী।

বিএনপির শাসনামলে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া প্লট পান এবং একই সময় তার স্বামী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. হারুনুর রশীদও প্লট নেন।

পরে এক-এগারোর সরকার তাদের দু’জনেরই প্লট বাতিল করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পাপিয়া। পরে রায় তার অনুকূলে এলেও তাকে প্লট বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।

অন্যদিকে তার স্বামী মো. হারুনুর রশীদ বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য। হারুনুর রশীদ নতুন করে প্লটের জন্য আবেদন না করলেও তার স্ত্রীর প্লটের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছেন।

তবে এ বিষয়ে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে প্লটের আবেদন প্রকাশ্যে আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, আমার প্রশ্ন, মন্ত্রণালয় কীভাবে একটা গোপনীয় চিঠি প্রকাশ করল? তারা আমার মোবাইল নম্বর ভাইরাল করে দিল। এটা কেন করল? এটা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া হয়নি।

জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বরাবর প্লট চেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আবেদন করেন। এতে তিনি বলেছেন, ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট প্রয়োজন। ঢাকায় আমার কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই। ওকালতির বাইরে আমার কোনো পেশা বা ব্যবসা নেই। ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেয়া হলে ‘চিরকৃতজ্ঞ’ থাকব।

প্লটের জন্য আবেদন করা নিয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা রোববার বলেন, আমি যে সুবিধা চেয়েছি সেটা সরকারি সুবিধা নয়, রাষ্ট্রীয় সুবিধা। সংবিধান আমাকে এ সুবিধা দিয়েছে।

তিনি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তো সংসদ সদস্য না, তাহলে তিনি কী করে শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা পান? আসলে মুহিতের ঘটনা চাপা দিতেই সরকার এটি করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here