বাংলা খবর ডেস্ক: ভারতের আসামের চুড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়াদের বাংলাদেশে পাঠানো হতে পারে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতে, চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার মধ্যে এটি আরও একটি বড় বিপদের আশঙ্কা।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত দুই বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের জন্মভুমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারেনি। রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে নতুন শিশু। এদের নাগরিকত্ব পরিচয় কি হবে? কোন দেশের পরিচয়ে এরা বেড়ে উঠবে? এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আবার নতুন খবর হল- ভারতের আসামে নাগরিকত্বহীন করা হয়েছে ১৯ লাখের বেশি মানুষকে। শোনা যাচ্ছে এদেরকে ঠেলে দেওয়া হবে বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য আরও একটি বড় বিপদের আশংকা।
প্রায় চার বছর ধরে যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ১ সেপ্টেম্বর আসাম চূরান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করে। এতে ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন জায়গা পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর আসামের অর্থমন্ত্রী বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে ১৪-১৫ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ফেরত নিতে বলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।