বাংলা খবর ডেস্ক: বীমাখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বীমায় বৈচিত্র্য আনতে হবে। এই খাত আগামীতে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে গবাদিপশু, বহুতল ভবন, অফিস ও ফ্ল্যাটসহ সম্ভাব্য সবকিছুকে বীমার আওতায় আনা হবে।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, আইডিআরএ চেয়্যারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ বীমা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান এমডি ও খাত-সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বীমাখাতকে আমরা অনেক গতিশীল করেছি। আমরা সঠিক পথে আছি, জাতির পিতার নির্দেশিত পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেই। অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার যেমন মৌলিক এলাকা ঠিক তেমন বীমাখাতও মৌলিক এলাকা। বীমা নিয়ে অনেক দুঃখ করতাম। কিন্তু এখন এটা কেটে গেছে। আগে বীমা নিয়ে অহরহ নেতিবাচক কথা শুনতাম। এখন কিছুই শুনি না।
তিনি বলেন, বীমাখাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নানা আলোচনা হয়েছে। তারাই বলেছেন বীমা আগের অবস্থানে নেই। বীমাখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ খাতটি আরও কীভাবে বৈচিত্র্যময় করা যায়, কীভাবে নতুনত্ব আনা যায়- সে বিষয়ে আলাপ করেছি। আমাদের যে জায়গাগুলোতে ইন্সুরেন্স কাভারেজ নেই সেটাকে ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে। আমরা কেউ না কেউ কোনো না কোনো বাসায় থাকি, ফ্ল্যাটে থাকি। তাদের দাবি ফ্ল্যাটগুলোর ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক করা। আমরা যে অফিসে থাকি সেটার ইন্সুরেন্স আছে কি না জানি না। তাদের দাবি সেগুলোও ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশে কুকুর-বিড়ালেরও ইন্সুরেন্স আছে, শুধু মানুষ ও প্রোপার্টি নয়। আমাদের শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়তে হয়। তবে দেশের প্রত্যেকটা কম্পোনেন্টকে মনের মাধুরী মিশিয়ে সামনে নিতে হবে। আমাদের দুর্ঘটনা ইন্সুরেন্স কাভার করতে হবে। প্রত্যেকটা উঁচু ভবন হোক আর নিচু ভবন হোক শতভাগ ইন্সুরেন্সের আওতায় আসতে হবে। যে বাড়িতে ঘুমায় সেই বাড়িগুলো শতভাগ ইন্সুরেন্সের আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটা জায়গা আমরা যদি ইন্সুরেন্সের আওতায় আনতে পারি, তাহলে আমাদের অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। বীমাখাতকে অর্থনীতির জন্য কাজে লাগাতে হবে। আগামী বছরের ১ মার্চ থেকে জাতীয় বীমা দিবস পালন করা হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।