বাংলা খবর ডেস্ক: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে আজ বুধবার জাপানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের চুনবুরিতে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
এ ম্যাচকে সমানে রেখে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পাটান গলফ ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলন করে বাংলাদেশ কিশোরী দল। মাঠের অনুশীলন শেষে টিম হোটেলের সুইমিংপুলে সাঁতার সেশনে অংশ নেয় লাল-সবুজের মেয়েরা। তবে ঘণ্টা খানেকের মাঠের অনুশীলনে অনুপস্থিত অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা ও ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে। আর জাপান প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। মারাত্মক ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে প্রথম ম্যাচে হেরেই।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জয় দিয়েই স্বপ্নের বীজ বুনতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরও তাদের ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের সেমি ফাইনালে যাওয়ার। এজন্য করতে হবে অসাধ্য সাধন। এই মিশনে জয়ের বিকল্পই নেই বুধবার জাপান এবং ২১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু সেটা কী করতে পারবেন মারিয়া- মনিকারা?
যারা অপেক্ষকৃত দুর্বল থাইল্যান্ডের জালেই বল ফেলতে পারেনি তাদের পক্ষে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে কী জেতা সম্ভব? কিংবা জাপানকে রুখে দেয়া অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করা। ২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জাপান। ২০১০ এবং ২০১৬ সালের রানার্সআপ তারা। তাদের বিপক্ষে জয়ের আশা করাটা দুঃসাহসই।
লাল সবুজ দলের সহকারী কোচ সহকারী কোচ মাহাবুবুর রহমান অবশ্য স্পষ্টই জানালেন, আমাদের জয়ের চেষ্টা করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগই নেই। তা না হলে যে ছিটকে পড়তে তবে।’ সেই ঘোষণাও পরিস্কার করে দিলেন না কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তার বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই, দেশের মহিলা ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আজ জাপানের বিপক্ষে এবং পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলতে চাই। সবাই জানেন ফুটবলে হার জিত সবই হতে পারে।
মহিলা ফুটবলে জাপানের র্যাংকিং ১১তম। বাংলাদেশ আছে ১৩০ এ। ২০১৭ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চ’ড়ান্ত পর্বে এই ছনবুরিতেই জাপানের কাছে ০-৩ গোলে হার বাংলাদেশের। সেই আসরে জাপান হয়েছিল তৃতীয়। অবশ্য এবার তাদর গভীর টেনশনে ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে সকারুজরাাভ গোলশূন্যতে ঠিকিয়ে দেয় জাপানকে। অথচ ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-০তে উড়িয়ে দিয়েছিল জাপান। তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জাপানী মেয়েরা আজ মরন কামড় দেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। অবশ্য তাদের মরিয়া মনোভাবের বিপরীতে মারিয়ারা কাউন্টারে গোল আদায় করতে পারলে তা হবে ইতিবাচক। সে পরিকল্পনাও আছে ছোটনের মাথায়।
তবে যত ছকই করা হোক না কেন বাংলাদেশ দল যে বুধবার জাপানী টাইফুনের কবলে পড়বে এটা অনুমেয়। অবশ্য সহকারী কোচ লিটু গতবারের জাপান দলের সাথে তুলনায় গিয়ে বতর্মান দলকে কিছুটা দুর্বলই উল্লেখ করলেন।