বাংলা খবর ডেস্ক: সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ছিন্ন-ভিন্ন করে কুখ্যত সাঈদীরা ক্ষমতায় এসেছিল। যাদের রাজনীতির কারণে সাঈদীরা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের দ্বারা দেশ নিরাপদ নয়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতির ধারা পরিবর্তন করতে আমরা ওয়ার্কাস পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।
রোববার সকালে পিরোজপুর জেলা ওয়ার্কাস পার্টির চতুর্থ জেলা সম্মেলন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি খান মো. রুস্তুম আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, জেলা জাসদের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাস ও চন্দ্র শেখর হালদার প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও গণসংগীত পরিবেশন এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মোৎসর্গে এক মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে এখন উন্নয়নের নামে চলছে হরিলুট। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেয়া হয়েছে, কিন্তু মাদকের মুল হোতাদের না ধরলে কোনো দিনই দেশ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব না। একই সঙ্গে তালিকা করে দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও দাবি তোলেন তিনি।
মেনন বলেন, ’৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, অথচ আজ এ দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। আর এ সব কিছু হয়েছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের পরিশ্রমের ফলে। অথচ, সেই কৃষক আজ তার ধানের ন্যাজ্য মুল্য পায় না।
নারী জাগরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশের মেয়েরা গার্মেন্টেসে কাজ করে, বিদেশে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের উন্নয়নের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মেনন বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ লোক উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে, আর সাধারণ মানুষ রয়েছে এখনও বঞ্চিত, আমরা উন্নয়ন চাই, বৈষম্য চাই না।