বাংলা খবর ডেস্ক: কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ভারতের উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ওই দুই রাজ্যের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় রেলসেবা, যান চলাচল, স্বাস্থ্যসেবা, স্কুল এবং বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। পাটনায় বিদ্যুৎ এবং পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছেন বহু বাসিন্দা। বিহারের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জাতীয় দুর্যোগ প্রশমনের ১৯টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পাটনায় কাজ করছে তিনটি টিম।
বাড়ি-ঘর, হাসপাতাল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাটনার রাস্তায় বন্যার পানিতে ছবি তুলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন এক নারী। ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ওই নারীর বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে।
পাটনার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির ছাত্রী অদিতি সিং। সৌরভ অনুরাজ নামের এক ফটোগ্রাফার পাটনার বন্যাকবলিত রাস্তায় অদিতির বেশ কিছু ছবি তুলে দিয়েছেন। তবে এই ছবিগুলো হুট করেই তোলা হয়নি। বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই তোলা হয়েছে। বন্যার পানিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন বলে তাকে নিয়ে মোটেও বিতর্ক হচ্ছে না। বিতর্ক হচ্ছে তার পরনের পোশাক নিয়ে।
সাধারণত কোনো পার্টিতে যেসব পোশাক পরা হয় সে ধরনেরই একটি লাল গাউন পরে রাস্তায় ছবি তুলেছেন অদিতি। এমন পোশাক এ ধরনের পরিস্থিতিতে মোটেও মানায় না।
এসব ছবি ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অদিতি। আর ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, দুর্যোগের মধ্যে মৎস্যকন্যা। টকটকে লাল গাউনে বেশ হাসিখুশি মেজাজেই ছবি তুলেছেন তিনি। চারদিকে বন্যায় যে ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন পাটনার মানুষ সেখানে তার এমন ছবি একেবারেই বেমানান।
যদিও ফটোগ্রাফার অনুরাজ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, তারা শহরের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, পাটনার বর্তমান অবস্থা দেখানোর জন্য এই ফটোশ্যুট করা হয়েছে। এটাকে অন্যভাবে নেবেন না।
ইন্সটাগ্রামে এই ছবিতে ১০ হাজার লাইক পড়েছে। যদিও এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। পাটনার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার জন্য অনেকেই অদিতি এবং অনুরাজের প্রশংসা করেছেন। অপরদিকে অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে তাদের এ ধরনের ছবি তোলা নিয়ে সমালোচনাও করেছেন।
ইন্সটাগ্রামে একজন কমেন্ট করেছেন, আপনাদের ফটোশ্যুট শেষ হলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা করার জন্য কিছু সময় বের করুন। অন্য একজন লিখেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে আপনারা এমন রোমন্টিকতা করতে পারেন না।
তবে প্রশংসা করে একজন লিখেছেন, এমন চিন্তা ভালো লেগেছে। অন্য একজন লিখেছেন, সবাই কেন এসব ছবি নিয়ে এত সমালোচনা করছে? ভুল ধারণা থেকে সমালোচনা করা উচিত নয়।