তিন মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন

0
60

বাংলা খবর ডেস্ক: অব্যাহত দরপতন আর লেনদেন খরার খপ্পরে পড়ে ধুঁকছে দেশের শেয়ারবাজার। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপেও গতি ফিরছে না শেয়ারবাজারে। উল্টো প্রতিনিয়ত দরপতনের সঙ্গে কমছে লেনদেনের গতি। ধারাবাহিকভাবে লেনদেন কমতে কমতে সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

এর আগে চলতি বছরের ১৬ জুলাই ডিএসইতে ২৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর গত তিন মাসের মধ্যে ডিএসইতে আর তিনশ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি। সোমবার ডিএসইর লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচে না নামলেও, গত ১৬ জুলাইয়ের পর সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।

লেনদেন খরার পাশাপাশি সোমবার ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দরপতন হয়েছে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২৫১টির। আর ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ দশমিক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে উঠে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই দরপতন হল।

লেনদেন খরার বাজারে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়াটা কেমিক্যালের ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৮২ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫২টির। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here