তিস্তার পানি না দেওয়া ভারতের ‘চাণক্য বুদ্ধি’: গয়েশ্বর

0
413

বাংলা খবর ডেস্ক: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভারতের আবদারে এখন আবার ফেনী নদীর পানি দেয়া হচ্ছে। তাহলে তিস্তাসহ ৫৪টি পানি পাওয়ার দাবি কোথায় গেলো। ভারতের চাণক্য বুদ্ধি মমতা তিস্তার পানি দিতে বাধা দিয়েছে। যদি এক মমতাই তিস্তার পানি পেতে বাধা হতে পারে তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সম্মতি ছাড়াই কিভাবে ফেনী নদীর পানি দেওয়ার চুক্তি হতে পারে।

শনিবার তিনি খুলনায় মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভায় এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

জনসভায় ভারতের সঙ্গে চুক্তিকে একতরফা মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিস্তায় পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশের জনগণ। আবার অসময়ে ফারাক্কার সবগুলো গেট খুলে দিয়ে উত্তরাঞ্চলে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ১৬টি রাডার কার স্বার্থে বসানো হয়েছে? মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের মালামাল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু? সেটা জানতে চাইতেই পারে বাংলাদেশের জনগণ।

প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা আরও বলেন, জাতীয় সংসদে আলোচনা ছাড়াই আপনি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের পানি, উপকূল, বন্দর ও গ্যাস দিতে পারেন না। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কথা বললেই দেশপ্রেমিক বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করবে আপনার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী? সরকারের সকল অন্যায়-অপকর্ম দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিবাদ করতে পারতেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সে কারণেই তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় প্রহসনের বিচারে কারারুদ্ধ করে রেখেছেন। তাতেও আপনার শেষ রক্ষা হবে না।

তিনি বলেন, এখান থেকে আন্দোলনের যাত্রা শুরু যতক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়া মুক্তি না পায়। এখান থেকে যাত্রা শুরু যতক্ষণ এই দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল না হয়। আমাদের যাত্রা শুরু যতক্ষণ না সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আজ থেকে আমাদের ঘুম নাই। রাস্তায় দেখা রাস্তায় মোকাবেলা। বাধা আসলে বাধা দিতে হবে। প্রশাসনের যারা আছেন তারা জনগণের এই আন্দোলনে সামিল হন। ৭১ এর যুদ্ধের মতো জনগণের পাশে দাঁড়ান। অবৈধ সরকারের নির্দেশ মেনে জনগণের মুখোমুখি হবেন না।

এসময় জনসমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্তুজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, আমীর এজাজ খান, দেলোয়ার হোসেন খোকন, অ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, মীর কায়সেদ আলী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, এসএম আসাদুজ্জামান মুরাদ, আরিফুজ্জামান অপু, কামরুজ্জামান টুকু, মোল্যা মোশাররফ হোসেন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, মাহবুব হাসান পিয়ারু, মুজিবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল ও শফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here