আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে: নানক

0
65

বাংলা খবর ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে গ্রুপ করার জন্য, দল ভারী করার জন্য যারা বিএনপি-জামায়াতকে দলে ঢুকিয়েছেন, আর যারা ঢুকে পড়েছে, তাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সব স্থান থেকে খুঁজে বের করে ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে।’

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর টাউন হলে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

নানক বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিন তিনবার ক্ষমতায় থাকায় দলে কিছু অসাধু মানুষ ঢুকে পড়েছে। যারা দলের বহিরাগত, কোনোদিন দল করেনি, অথচ দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, তাদের খুঁজে বের করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই। শেখ হাসিনা ক্যাসিনো বলেন, ফ্যাসিনো বলেন কোনও কিছুকেই রেহাই দিচ্ছেন না। দলের যত বড় রথি-মহারথি হোক না কেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন করবো। তার আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন শেষ করতে চাই। আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা সম্মেলন করবেন ভালো কথা। তবে সেখানে আমরা নিজের লোক খুঁজি, পারলে বাড়ির কাজের লোককেও কমিটিতে রাখতে চাই, তাদের নাম দিতে চাই, এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘জেলা-উপজেলায় সভাপতি, সম্পাদক নিজেরা কথা বলেন না। গ্রুপিং করেন কেন এত? বিভাজন-বিভেদ কেন? মনে রাখতে হবে এদিন দিন নয়, আরও দিন আছে। দল করবেন, গ্রুপিং করবেন, সেটা আর বরদাশত করা হবে না।’

নানক আরও বলেন, ‘মির্জা ফখরুল আর মওদুদ সাহেবরা বড় বড় কথা বলেন। বুয়েটে আমাদের বোন সনিকে হত্যা করা হলো। কই আপনরা তো খুনিদের গ্রেফতার করেন নাই, তাদের বিচার করেন নাই। শেখ হাসিনা কিন্তু কাউকেই রেহাই দিচ্ছেন না। যারাই অপরাধ করুক, তাদের গ্রেফতার করে বিচার করছেন।’

এদিকে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা রংপুর বিভাগে প্রতিনিধি সভা করছি। এরপর প্রতিটি জেলায় প্রতিনিধি সভা করবো। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের মতামত শুনবো, তাদের দুঃখ-বেদনার কথা শুনবো।’

তিনি সবাইকে দলের আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে মতামত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে, নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেটা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয়। আমরা দ্রুত রংপুর বিভাগের প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিল করে কমিটি গঠন করবো।’

প্রতিনিধি সভায় রংপুর বিভাগের ৯ রাজনৈতিক জেলার উপজেলা সভাপতি-সম্পাদক, জেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মোতাহার হোসেন, মোস্তাফিজার রহমান ফিজারসহ অন্য নেতারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here